২০২৪ সালে চাকরি পাওয়ার সেরা উপায়!
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো,,
প্রবাসে/ঢাকায় চাকরি পাওয়ার জন্য কোন কোন বিষয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দেবেন।তো চলুন আজকের শিক্ষনীয় আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
(১)ঢাকায় যাবো কিভাবে?
ঢাকায় যাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।তা না হলে,, আপনি সঠিক স্থানে পৌঁছতে পারবেন না। আপনি যে স্থানে যাবেন, সে স্থানটি আপনার চেনা থাকা লাগবে,তাহলেই আপনি
সঠিক স্থানে পৌঁছাতে পারবেন।অপরিচিত স্থানে গেলে আপনার বিপদ হতে পারে। আপনি যদি প্রথম ঢাকায় যান, তাহলে সেটা আলাদা বিষয়। নতুন অবস্থায় ঢাকায় গেলে আপনাকে কিছু স্টেপ ফলো করতে হবে।
স্টেপ (১)ঢাকায় পরিচিত লোক থাকা:
নতুন অবস্থান ঢাকায় গেলে অবশ্যই চেনা লোক থাকা জরুরী। তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে যেতে পারবেন।চেনা লোক থাকলে হয় কি!আপনি সেখনে কোনো প্রকার বিপদের সম্মুখীন হবেন না। সেখানে চাকরি পেতেও সহজ হবে।এছাড়াও আপনার অনেক সুবিধা হবে।পরিচিত লোক আপনাকে অনেকভাবে সহায়তা করবে। আবার নতুন অবস্থায় ঢাকায় গিয়ে সব লোককে বিশ্বাস করতে যাবেন না। আপনি সহজেই একটা লোককে বিশ্বাস করেন, তাহলে এই অভ্যাসটা আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে।একটা কথা মনে রাখবেন,, ঢাকায় লোককে আপনি সহজে বিশ্বাস করতে যাবেন না। তাদের নিন্দা আমি করছি না।সব মানুষ তো এক না। ঢাকায় গেলে আপনার সহজ -সরল মনমানসিকতা ত্যাগ করতে হবে।আপনি সেখানে বেশি সরল হতে যাবেন না। তাহলে লোকজন আপনাকে নানাভাবে ঠকানোর চেষ্টা করবে। ঢাকায় যদি আপনার পরিচিত লোক থাকে তাহলে, সেখানে যাওয়ার পূর্বে তাকে একটা কল দেবেন। আবার যেকোনো টাইমে কল দিলে হবে না। আপনি সর্বপ্রথম জেনে নেবেন, তার অফিস বন্ধ কোনদিন/ছুটির দিন কবে। সেদিন সে অনেক ফ্রি থাকবে,।সেইদিন আপনি সময় করে তাকে কল দেবেন। কল দিয়ে সব ডিটেল্স এ জেনে নেবেন। আর আপনি তাকে ১তারিখের মধ্যে কল দেবেন।তাহলে হবে কি,,১-১০ তারিখের ভেতরে Factory তে লোক নিয়োগ দেয়া হয়। ওই সময়টি কাজে লাগালে ঢাকায় গিয়ে চাকরি নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হবে না।
স্টেপ (২) নতুন অবস্থায় ঢাকায় যাবো কিভাবে?
আপনি চেষ্টা করলেই নতুন অবস্থায়ও সহজেই ঢাকায় যেতে পারবেন।বর্তমান নেট দুনিয়ার অসম্ভব বলে কিছুই নেই।চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। আপনি চাইলেই কয়দিনের ভেতর ঢাকায় যেতে পারবেন। এখন অনলাইনে বাসের টিকিট পর্যন্ত কাটা যায়।আর কি চান রে ভাই? এর থেকে আর সহজ কোনো ব্যবস্থা আছে? আমার মনে হয়, আর সহজ কোনো উপায় নেই!আপনি চাইলেই সহজেই বাস/ট্রেনের টিকিট কেটে
ঢাকায় গিয়ে ভালো একটা চাকরি করতে পারেন।বর্তমান যুগে স্মার্টফোন ব্যবহার করে না এমন লোক খুঁজেমপাওয়া মুশকিল। তাই, আপনি যদি গুগলে/ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখেন যে,ঢাকায় ভালো জায়গায় যাবো কিভাবে? তাহলে আপানার সামনে অনেক ভিডিও শো হবে।
এভাবে খোঁজ করার মাধ্যমেও আপনি সহজেই ঢাকায় যেতে পারবেন।
(২**)ঢাকায় যেতে কি কি দরকার হবে?
ঢাকায় যাওয়ার জন্য আপনার সর্বপ্রথম যেটা দরকার হবে সেটি হলো টাকা। সর্বপ্রথম আপনাকে টাকা সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি স্ত্রী এবং সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যেতে চান তাহলে, সর্বনিম্ন দশ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যেতে হবে। কারণ পুরো মাসটি আপনাকে চলতে হবে। ধরতে গেলে সেখানে আপনার কিছুই থাকবে না। আপনাকে বাসা থেকে অনেক কিছু নিয়ে যেতে হবে। যেমন- ভাত রান্না করার জন্য হাঁড়ি-পাতিল ইত্যাদি। এছাড়াও পরিধানের জন্য কাপড় এবং অন্যান্য সামগ্রী পত্র নিয়ে যেতে হবে। সেখানে আপনাকে জ্বালানীর চিন্তা করতে হবে না। সেখানে আপনি সাপ্লাই গ্যাস পাবেন। সাথে সাপ্লাই পানি রয়েছে। এক কথায় আপনার দৈনন্দিন জীবনে যা যা প্রয়োজন সেগুলোই ঢাকায় নিয়ে যাবেন।
(*)চাকরীর জন্য জরুরী কাগজপত্র :
ঢাকায় গেলে আপনার সর্বপ্রথম একটা জিনিসের প্রয়োজন হবে। এটা হল আপনাকে চাকরির সন্ধানে বেরিয়ে পড়তে হবে। কোথায় ভালো চাকরি পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে। আপনি যে বাসায় থাকেন সে বাসার আশেপাশে যদি কলকারখানা থাকে সেগুলোতে খোঁজ দেবেন। ফ্যাক্টরি আপনার বাসার পাশাপাশি হলে ভালো হয়। কারণ সেখান থেকে যাতায়াতের অনেক সুবিধা হবে। কোন গাড়ি ভাড়া বা খরচ লাগবে না। সে ক্ষেত্রে আপনি একটা চেষ্টা রাখবেন যে ফ্যাক্টরের কাছাকাছি বাসা নেওয়া। চাকরি করার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। কাগজপত্র অবশ্যই আপনাকে বাসা থেকে নিয়ে আসতে হবে। চাকরি করার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন এসএসসি পাশ হতে হবে। এসএসসি পাস থাকলে আপনি ভালো একটি চাকরির সন্ধান পাবেন। চাকরি করার জন্য কি কি জরুরী কাগজপত্র লাগবে তার নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
(১)আপনার জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড
(২)এসএসসি পাস সার্টিফিকেট
(৩)চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট বা নাগরিকত্ব
(৪)পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি
(৫)স্ট্যাম্প সাইজের দুই কপি ছবি
বিস্তারিত:
অবশ্যই আপনার নিজের অরজিনাল জন্ম নিবন্ধন হতে হবে। নিজের SSC পাশের সার্টিফিকেট হতে হবে।গ্রামের বাড়ি থেকে আপনি ছবি তুলে সেখানে নিয়ে যাবেন। তাহলে সেখানে আর ঝামেলা হবে না। অন্যের কাগজ দিয়ে কখনোই চাকরি নিতে যাবেন না। তাহলে আপনি সেখানে ধরা খেয়ে যাবেন। তাহলে সেখানে আর দ্বিতীয় বার গেলে আপনাকে কখনোই তারা চাকরিতে নেবেন না। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন নিজের কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার। নকল দিলে আপনি একদিন না একদিন ধরা খাবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার নিজের কাগজপত্র দিলেই ভালো হয়।
(৩***)যেখানে যাবো, সেই স্থান নির্বাচন :
আপনি ঢাকার যে স্থানে যাবেন সে স্থান সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে। সেই জায়গাটি জায়গাটি ভালো না খারাপ সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।তারপরে আপনাকে নির্দিষ্ট স্থানে যেতে হবে। পাষা নেয়ার আগে বাসা ওয়ালার সাথে ভালোভাবে সবকিছু জেনে নেবেন। বাসাওয়ালার সাথে কথা বললে আপনার সবকিছু ক্লিয়ার হবে।এছাড়া বাসাওয়ালার সাথে কথা বলার পূর্বে অবশ্যই বাসায় যারা থাকেন তাদের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। তাহলে তাদের সম্পর্কে আরো ভালো জানতে পারবেন। এছাড়া আপনি অনলাইন থেকে কিছু ধারণা নিয়ে ঢাকা যেতে পারেন। তাহলে আপনার অনেকটা সুবিধা হবে।
(৪****)সেই জায়গা সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নেয়া:
বাসা ভাড়া নেয়ার পূর্বে পাড়ার প্রতিবেশী যারা রয়েছেন তাদের থেকে অবশ্যই জেনে নেবেন। তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন যে এই বাসায় থাকলে কোন সমস্যা হবে। তারা যদি বলে না বাসওয়ালা ভালো এবং এই বাসায় থাকলে কোন সমস্যা হবে না,, তাহলে আপনি সেখানে থেকে যেতে পারেন। (এটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার)। অনেক খোঁজখবর নেয়ার পরে যদি আপনার মনে হয় বাসাটা আমার জন্য ভালো হবে তাহলে আপনি সেই বাসটাই থেকে যেতে পারেন। আপনার ভালো মন্দ আপনার নিজের উপর। সেক্ষেত্রে আমি বলব আপনার পছন্দমতো ভালো একটি বাসা নিবেন।রাস্তার পাশে কখনোই বাসা নিতে যাবেন না। কারো নতুন অবস্থায় রাস্তার পাশে বাসা না নেওয়াটাই ভালো। রাস্তায় বাসা নেয়া মানে বুঝতেই পারছেন রাস্তায় অনেক খারাপ লোক থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি যখন পুরাতন হবেন তখন আপনার ক্ষেত্রে সে বিষয়টা আলাদা।
(৫*****)সঠিক জায়গায় পৌঁছে বাসা ভাড়া নেয়া:
বাসা ভাড়া নেওয়ার পূর্বে বাসাওয়ালার সাথে সর্বপ্রথম কথা বলে নেবেন। সবকিছু ক্লিয়ার করে নেবেন। বাসায় কি কি নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো জেনে নেবেন। তাহলে অনেকের বাসায় সাপ্লাই গ্যাস রয়েছে,, আবার অনেকের বাসায় সাপ্লাই দেশ নেই। সে ক্ষেত্রে গ্যাস সম্পর্কে খোঁজ নিবেন। প্রায় অনেক বাসায় সাপ্লাই পানি রয়েছে কিন্তু আবার অনেক বাসায় টিউবয়েলও রয়েছে। আপনার যেটা পছন্দ হয়,, সেভাবে বাসা নেবেন। আপনি যে বাসায় দেখবেন বেশি রুম রয়েছে এবং এটি অনেক বড় সে বাসায় থাকবেন। এক্ষেত্রে হবে কি,, আপনার কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আপনি প্রথম অবস্থায় চেষ্টা করবেন কম ভাড়ার ভেতরে বাসা নেয়ার।অবস্থায় ঢাকায় যাওয়ার পর আপনি কখনোই বেশি দামে বাসা ভাড়ায় থাকবেন না।
(৬*******) বাসা ভাড়া সম্পর্কে কিছু ধারণা :
এক এক রকম বাসায় এক এক রকম ভাড়া হয়।আপনি সর্বপ্রথম বাসাওয়ালার থেকে বাসা ভাড়া সম্পর্কে ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নেবেন।সেক্ষেত্রে বাসা ভাড়া নিয়ে কোন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে না।
(*)ফ্লাট বাসা:
আপনি যদি নতুন অবস্থায় ফ্লাট বাসায় যান,, তাহলে সেখানে ভাড়া হবে ৭০০০ থেকে ৯ হাজার পর্যন্ত। এখানে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। ফ্ল্যাট বাসায় কোনোটাই দুইটা করে রুম থাকে,, আবার কোনটাই তিনটা করে রুম থাকে। ফ্ল্যাট বাসায় থাকতে হলে রুমগুলো আপনি ভালোভাবে দেখে নেবেন। কমবেশি সব ফ্ল্যাটে সাপ্লাই গ্যাস এবং পানি রয়েছে।ফ্ল্যাট বাসার ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব একটা মিটার থাকবে। আপনি যে পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন সে পরিমাণ বিল মিটারে আসবে। গ্রামের থেকে ঢাকা শহরে একটু কারেন্ট বিল বেশি আসে। অতটাও বেশি আসবে না আপনি যেভাবে ব্যবহার করবেন ততটুকু আসবে।
(**)টিন শেট বাসা:
আপনার যদি একটা রুমের দরকার হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা।আমার মাথায় যদি আপনার একটা রুমের দরকার হয় তাহলে ফ্ল্যাট বাসায় না থাকাটাই ভালো। অনেক টিনশেনের বাসায় সাপ্লাই পানি নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি টিউবয়েল দেখতে পাবেন। সে ক্ষেত্রে টিউবলের পানি অনেক ঠান্ডা হয়। আপনার যদি একটা রুম দরকার হয় তাহলে
ফ্লাটে না থেকে টিনের বাসায় থাকবেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া অনেকটা কম। টিনের বাসায় ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া। একেক বাসার ক্ষেত্রে এক রকম ভাড়া হয়। আপনার যদি একটা রুমের দরকার হয়,, তাহলে টিনের বাসায় গেলেই ভালো হয়। সেক্ষেত্রে ভাড়া টা অনেক কম হবে।
(৭********)বাসায় পৌঁছানোর পর যা করণীয়:
আপনি যে বাসাটা ভাড়া নেবেন,, কথা বলার পর সে বাসাওয়ালার নাম্বারটা অবশ্যই আপনার মোবাইলে সেভ করে রাখবেন। আপনি যে বাসাটি ভাড়া নেবেন সে রুমটিতে পৌঁছানোর পর সর্বপ্রথম রুমটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন। সেখানে হয়তো কেউ না কেউ ভাড়া ছিল। সে হয়তো চলে গেছে। সে কারণে বাসাটি ফাঁকা হয়েছে এবং আপনি বাসাটি ভাড়া পেয়েছেন। সর্বপ্রথম রুমে ঢুকে সবকিছু ভালোভাবে চেক দিয়ে নিবেন। যদি আপনি সমস্যা মনে করেন বা কোন কিছু খুঁজে পান তাহলে অবশ্যই সাথে সাথে বাসাওয়ালাকে জানাবেন। আপনার যাবতীয় সামগ্রিক পত্র গুছিয়ে রাখবেন। নিজে জিনিসপত্রগুলো বাসায় ভালোভাবে গুছিয়ে রাখবেন। যখন আপনি চাকরি পেয়ে যাবেন। মাস শেষে যখন বেতন পাবেন,, তখন আপনার অনেক ভালো লাগবে।
(**)আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথা:
আমি দশম শ্রেণিতে পড়াশোনাকালে,, পরিবারকে না জানিয়ে,, নিজের ফুফাতো বোনকে বিয়ে করে,, সরাসরি ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় আমার চাকরীর বয়স- Running ১ বছর তিন মাসের কাছাকাছি। আমার এই বয়সে চাকরীর অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।আর যারা Already ঢাকায় চাকরি করেন,,কিন্তু টাকা জমাতে পারেন না! তারা আমাকে কমেন্টে জানান।এই বিষয়ে নতুন আর্টিকেল শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন